• Call Us01744666116, 01722643739
  • Login

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (NTRCA)

 

বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) হল বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে যোগ্য ও দক্ষ শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মেধাভিত্তিক শিক্ষক বাছাই নিশ্চিত করে থাকে। বর্তমান সময়ে অন্যান্য সরকারি চাকরির মধ্যে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) চাকরিটি অন্যতম। এনটিআরসিএ চাকরি করার মাধ্যমে আপনি আপনার একটি সুন্দর ভবিষ্যৎ গড়তে পারেন।

আপনার প্রস্তুতিকে শানিত করতে এবং প্রস্তুতির মানকে ১০০/১০০ পূর্ণ মান উন্নয়ন করতে রমেশ স্যার ও মোকারম স্যারের “ক্যারিয়ার মেন্টর” হতে পারে একটি পারফেক্ট সলিউশন।

 

কোর্সের বৈশিষ্ট্য:

  • বেসিক, লেকচার ও প্রশ্নব্যাংক প্রনালাইসিস ক্লাস
  • লেকচার, উইকলি, মান্থলি স্ট্যান্ডাট এক্সাম
  • রিভিউ এক্সাম, সাবজেক্ট মডেল টেস্ট
  • স্পেশাল ফাইনাল মডেল টেস্ট
  • Doubt Solving Class
 

বি:দ্র:- অত্যাধনিক ও তথ্য সমৃদ্ধ লেকচার শিট প্রদান করা হয়।এই শিটগুলো ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের ব্যতিত বাইরে কোথাও বিক্রি করা হয় না।

“ক্যারিয়ার মেন্টর” শিক্ষক নিবন্ধন লেকচার প্ল্যান দেখতে এখানে ক্লিক করুন…

এক নজরে শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা বিগত বছরের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পর্যালোচনা

দেশব্যাপী স্বচ্ছ, দুর্নীতিমুক্ত ও কম্পিউটারাইজড পদ্ধতিতে প্রতিযোগিতামূলক শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ, নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের প্রত্যয়নপত্র প্রদান, শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষা গ্রহণ শেষে সম্মিলিত জাতীয় মেধাতালিকা হালনাগাদকরণ এবং ওয়েবসাইটে প্রকাশ, শিক্ষক নিয়োগের লক্ষ্যে দেশের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে অনলাইনে ই-রিকুইজিশন গ্রহণ এবং প্রাপ্ত শূন্য পদের বিপরীতে অনলাইনে আবেদনপত্র গ্রহণ করে নিবন্ধন সনদধারী প্রার্থীদের মধ্য হতে এন্ট্রি লেভেলে মেধারভিত্তিতে কম্পিউটারাইজ পদ্ধতিতে সেরা প্রার্থীকে শূন্য পদের বিপরীতে নির্বাচন করে যোগ্যও মেধাবী শিক্ষক দ্বারা দেশের সার্বিক শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নয়ন সাধন।

প্রিলিমিনারির প্রস্তুতির পরামর্শ

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রার্থীদের সবচেয়ে স্বস্তির খবর হচ্ছে, এ পরীক্ষায় প্রিলিমিনারিতে প্রতিযোগিতা করতে হয় না; শুধু পাস নম্বর ৪০ পেতে হয়। তাই মাথা ঠান্ডা রেখে জেনে, বুঝে সহজ ও সঠিক উত্তর করা অত্যন্ত জরুরি। যারা পাস করবেন তাঁরাই পরবর্তী ধাপে বিষয়ভিত্তিক লিখিত পরীক্ষার জন্য মনোনীত হবেন। তবে, ভুল উত্তরের জন্য ০.২৫ নম্বর কাটার বিধান থাকায় একটু সতর্ক থাকতে হবে। উত্তর করার ক্ষেত্রে উত্তরটি শতভাগ নিশ্চিত না হয়ে উত্তর করা উচিত হবে না। সবচেয়ে সহজ কৌশল হচ্ছে, শতভাগ নিশ্চিত জানা প্রশ্নগুলোর উত্তর আগে করা। তাহলে অন্তত অকৃতকার্য হওয়ার আশঙ্কা সর্বোচ্চ পরিমাণে কমানো সম্ভব। প্রিলিতে শতভাগ পাস নিশ্চিত করতে শুধু পাস নম্বরের কথা মাথায় না রেখে সর্বোচ্চ ভালো করার প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।

বাংলা বিষয়ের প্রস্তুতি

প্রিলি পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের বাংলা অংশে ২৫ নম্বরের মতো বরাদ্দ থাকে। বেশির ভাগ প্রশ্ন ব্যাকরণ থেকে হয়। তবে সাহিত্য থেকেও কিছু প্রশ্ন হতে পারে। ব্যাকরণ অংশের সমাস, ভাষা ও ভাষারীতি, বাগধারা, বাক্য, সমার্থক শব্দ, শুদ্ধ-অশুদ্ধ, সন্ধি, কারক, বিপরীত শব্দ, বিরাম ও যতিচিহ্ন থেকে বেশির ভাগ প্রশ্ন হয়ে থাকে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট সিলেবাসের বাকি বিষয়বস্তু থেকেও প্রশ্ন হয়ে থাকে। বাংলা অংশের প্রস্ততির জন্য নিজের তৈরিকৃত হ্যান্ডনোট বা সাজেশন করা যেতে পারে। নবম ও দশম শ্রেণির ব্যাকরণ বই, বিগত সালের প্রায় ১০ বছরের বিসিএস, নিবন্ধন ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক সমাধান করতে হবে।

ইংরেজি বিষয়ের প্রস্তুতি

ইংরেজি বিষয়ের প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রার্থীদের প্রথম কাজ হচ্ছে বিগত সালের প্রায় ১০ বছরের বিসিএস, নিবন্ধন ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। তারপর যতদূর মৌলিক জ্ঞান আছে সেটাকে কাজে লাগিয়ে অপেক্ষাকৃত সহজ বিষয়বস্তু সমাধান করা এবং বেশি বেশি চর্চা করা। বাক্য সম্পূর্ণ করা, বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ, পার্টস অব স্পিচ, রাইট ফর্ম অব ভার্ব, উপযুক্ত শব্দ দিয়ে শূন্যস্থান পূরণ, প্রতিশব্দ ও বিপরীত শব্দ, ভার্ব ও আর্টিকেলের ব্যবহার এবং কম্পোজিশন পড়তে হবে। সহায়ক বই হিসেবে ষষ্ঠ-দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি গ্রামার বোর্ড বই এবং যেকোনো লেখকের গ্রামার বই অনুশীলন করা যেতে পারে।

গণিত বিষয়ের প্রস্তুতি

গণিতের ক্ষেত্রেও বিগত বিসিএস, নিবন্ধন পরীক্ষা, প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক  ও অন্যান্য প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার প্রশ্ন থেকে ধারণা নিয়ে বিগত ১০ বছরের প্রশ্ন সমাধান করলে প্রস্তুতি প্রায় সম্পন্ন হয়ে যায়। এ ছাড়া ভালো প্রস্তুতির জন্য গণিতের বীজগণিত অংশ থেকে উৎপাদক, বর্গ ও ঘন–সংবলিত সূত্র প্রয়োগসংক্রান্ত অঙ্কসমূহ, গসাগু, লসাগু, লগারিদম ও সূচকসংক্রান্ত অঙ্কসমূহের সমাধান আলাদাভাবে চর্চা করা যেতে পারে। পাটিগণিত অংশে গড়, লসাগু, গসাগু, ঐকিক নিয়ম, সুদকষা, শতকরা, লাভক্ষতি ও অনুপাত সমানুপাত থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে। জ্যামিতি অংশের কোণ, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, রেখা, বৃত্ত ও ক্ষেত্রফল থেকে সচরাচর প্রশ্ন হয়। এ ছাড়া সিলেবাসে উল্লেখিত বিষয়বস্তু থেকেও প্রশ্ন হয়।

সাধারণ জ্ঞান অংশের প্রস্তুতি

সাধারণ জ্ঞান অংশের মধ্যে বাংলাদেশের অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, সংবিধান ও প্রশাসনিক কাঠামো, ভাষা আন্দোলন থেকে মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের অর্জন ও জাতীয় প্রত্যাশা, ভৌগোলিক অবস্থান ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন হয়। বাংলাদেশের সমসাময়িক ঘটনাবলি থেকে প্রশ্ন হয়। বাংলাদেশের অর্থনীতি, কৃষি, জনসংখ্যা ও বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে প্রশ্ন আসে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন, চুক্তি, সম্মেলন, ভৌগোলিক অবস্থান, আন্তর্জাতিক চলমান যুদ্ধ, সংকট ও আলোচিত ঘটনা ইত্যাদি থেকে প্রশ্ন হয়। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, ইন্টারনেট, আইসিটি, পরিবেশ ও রোগব্যাধি ইত্যাদি থেকেও প্রশ্ন হয়।

শেষ কথা

শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার সিলেবাস যতদূর সম্ভব শেষ করা ও বিগত সালের প্রায় ১০ বছরের বিসিএস, নিবন্ধন ও প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক পরীক্ষার প্রশ্নব্যাংক সমাধান করতে পারলে প্রিলিতে প্রায় শতভাগ কৃতকার্য হওয়া সম্ভব। মনে রাখা জরুরি, নিবন্ধন পরীক্ষায় প্রিলি পাসের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ পরিমাণ প্রশ্নের উত্তর করার চেয়ে সর্বোচ্চ পরিমাণ সঠিক উত্তর করার গুরত্ব সবচেয়ে বেশি।