প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে বাংলাদেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর হলো বাংলাদেশ সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি অধিদপ্তর। এর দায়িত্ব হলো প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহ নিয়ন্ত্রণ ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়ন করা।
কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) অথবা সমমানের ডিগ্রি থাকতে হবে।
সর্বশেষ প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর বয়স হতে হবে সর্বোচ্চ ৩০ বছর। তবে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও শারীরিক প্রতিবন্ধী আবেদনকারীর ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ বয়স সীমা হতে হবে ৩২ বছর।
কোনো পদে সরাসরি নিয়োগের জন্য কোনো ব্যক্তি যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না যদি তিনি:
আবেনদনপত্রে পোষ্য কোটা উল্লেখ না করলে মৌখিক পরীক্ষার সময় পোষ্য কোটার স্বপক্ষে সনদ দাখিল করলেও তাকে কোটায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে না।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা-২০১৯-এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী "পোষ্য অর্থাৎ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যা- লয়ে নিয়োজিত আছেন বা ছিলেন এমন শিক্ষকের অবিবাহিত সন্তান, যিনি উক্ত শিক্ষকের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল আছেন বা জীবিত থাকলে বা চাকরিতে থাকলে সম্পূর্ণরুপে নির্ভরশীল থাকতেন এবং উক্ত শিক্ষকের বিধবা স্ত্রী বা বিপত্নীক স্বামী বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা যিনি উক্ত শিক্ষকের উপর সম্পূর্ণরূপে নির্ভরশীল ছিলেন বা তিনি জীবিত থাকলে অনুরূপভাবে নির্ভরশীল থাকতেন এমন প্রার্থীদের পোষ্য কোটার বিবেচনা করা হয়।
মৌখিক পরীক্ষার সময় পোষ্য প্রার্থীদেরকে, তিনি পোষ্য ছিলেন মর্মে সংশ্লিষ্ট উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার কর্তৃক প্রদত্ত সনদ দাখিল করতে হয়। কোন প্রার্থী উল্লিখিত সনদ দাখিল করতে ব্যর্থ হলে তার প্রার্থিতা বাতিল বলে গণ্য হয়।